বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিল খান। এ দেশের চলচ্চিত্রের একটি পরিচিত মুখ। ১৯৯৭ সালে ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় পা রেখেছিলেন তিনি। নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই সুপারস্টার। এবার স্ত্রীর সঙ্গে লাইভে এসে সিনেমা ছাড়ার কারণ জানিয়েছেন তিনি।
শাকিল খান দর্শকের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এক সময় সিনেমা ছিল বাংলাদেশে বিনোদনের সবচেয়ে বড় একটি মাধ্যম। কিন্তু এমন একটা সময় এলো, যখন সিনেমা নিয়ে মানুষের খারাপ ধারণা তৈরি হলো ও নির্মাণের মান খারাপ হলো। ঠিক তখনই আমি পেছনে চলে গেলাম। কারণ আমি সব সময় চেয়েছি মানুষের কাছে সুন্দর কিছু উপস্থাপন করতে।
চিন্তা ছিল সুন্দর ও ভালো কাজ উপহার দেয়ার। তিনি সিনেমায়ে ফেরা প্রসঙ্গে বলেন, এখনো যে ভালো কিছু উপহার দেয়ার ইচ্ছা নেই, বিষয়টি তা নয়। সামনে ভালো কিছু এলে চিন্তাভাবনা করবো। তবে জানি না সেটা কখন। অপেক্ষায় থাকতে হবে।
শাকিল খান অভিনীত প্রথম সিনেমা ব্যবসায়িক সফলতা পাওয়ার পর ১০০ এর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ চিত্রনায়ক। নায়িকা পপির সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে শারমিন হোসেনকে বিয়ে করেন শাকিল খান। দুই সন্তানকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার।
বাংলাদেশকে দেওয়া জাপানের উপহারের টিকার পঞ্চম চালান শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় আসছে। এ চালানে ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য জাপানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া অক্সফোর্ডের টিকার আপাতত শেষ অংশ ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ ডোজ টিকা আজকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট বিকেলে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া জাপানের উপহারের পঞ্চম চালান টোকিও থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এদিন স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাতে নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছে।
গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়। এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয় চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেশে আসে। গত ২ আগস্ট আসে উপহারের আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা। সবশেষ ২১ আগস্ট চতুর্থ চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় আসে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি কোভ্যাক্সের আওতায় ১৫টি দেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে তালিকায় বাংলাদেশের নামও ছিল। সেখান থেকেই ৩০ লাখের বেশি ডোজ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।