অভিনেত্রী পূর্ণিমা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি এখনো চিরসবুজ রয়েছেন এবং এখনও তিনি মাঝেমধ্যে সিনেমায় অভিনয় করছেন। তবে সেটি খুব বেছে বেছে অভিনেত্রী পূর্ণিমা বিভিন্ন সিনেমা এখনো পর্যন্ত দেখা যায় দর্শক সমান আগ্রহ নিয়ে দেখে থাকেন।
তবে বর্তমানে তিনি স্বামী সন্তান নিয়ে বেশি ব্যস্ত এবার দেখা গেল অভিনেত্রী পূর্ণিমা বোন সফলতা অর্জন করেছেন বিদেশের মাটিতে নিউ ইয়র্ক সিটি নির্বাচনে প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং মুসলিম নারী হিসেবে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন শাহানা হানিফ।
ব্রুকলিনের ডিস্ট্রিক্ট ৩৯ থেকে কাউন্সিলওম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বেসরকারি ফল অনুযায়ী এরই মধ্যে বিজয়ের বার্তা পেয়ে গেছেন শাহানা। মঙ্গলবার দিনভর ভোট দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের মানুষ। রাত ১০টার আগেই ফল পরিষ্কার হয়ে যায়।
শাহানা হানিফের বাড়ি চট্টগ্রামের নাজিরহাটের পূর্ব ফরহাদাবাদে। তিনি চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ হানিফের কন্যা। ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমার ফুফাতো বোন শাহানা। বোনের সাফল্যের এই খবরে ভীষণ আনন্দিত পূর্ণিমা।
গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনে এই বিজয়ে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে উৎসব শুরু হয়েছে। বিশ্ব রাজধানীখ্যাত নিউ ইয়র্কের কাউন্সিলম্যান পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কেউ দলীয় মনোনয়নও নিশ্চিত করতে পারেনি।
ব্রুকলিনে নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে দেওয়া বক্তব্যে শাহানা হানিফ বলেন, একজন বাংলাদেশি হিসেবে, একজন মুসলিম নারী হিসেবে আমার বিজয় বড় একটি মাইলফলক। আমি বিজয়ী হয়েছি সাধারণ মানুষের পক্ষে লড়াই করার জন্য। তাদের জন্য কাজ করার মধ্য দিয়ে সেই লড়াই চালিয়ে যাব।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম শাহানা হানিফের বিজয়ের সংবাদ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ‘একজন মুসলিম নারী হিসেবে প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কের কাউন্সিলওম্যান হয়ে ইতিহাস গড়লেন শাহানা হানিফ।’
অন্যদিকে, কুইন্সের সিভিল কোর্টের বিচারপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি সোমা সাঈদ। বিজয়ী হওয়ার পর সোমা সাঈদ কালের কণ্ঠকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘এই জয় আমার একার নয়। পুরো অভিবাসী সমাজের জয়। বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত। এখন ন্যায়ের পক্ষে নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যেতে চাই।’
গ্লামোর্স অভিনেত্রী পূর্ণিমা। তিনি মূলত সিনেমা জগতে এসেছিলেন নব্বইয়ের দশকের পরবর্তী সময়ে এবং সিনেমার মাধ্যমে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য পর্যায়ের বিশেষ করে এই অভিনেত্রী তার সুনিপুণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন এবং তার নজরকাড়া গ্ল্যামার সবসময় দর্শকদের মন কেরেছে