একদা বামফ্রন্টের মন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী, এবার তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন তার পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র মেখলিগঞ্জ থেকে । এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য রাজনীতিতে শাসক তৃণমূলের প্রধান বিরোধী হিসেবে বিজেপিকে উঠে আসতে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থী তালিকা ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ কিছু রদ বদল করতে দেখা গিয়েছে। তারফলে বেশ কিছু মন্ত্রী বিধায়কদের এবার আর প্রার্থী করা হয়নি। সেই অবস্থায় অবশ্য কয়েক বছর আগে দল বদল করে তৃণমূলে আসা পরেশ অধিকারী টিকিট পেয়েছেন তার পুরোন কেন্দ্র মেখলিগঞ্জে । আগের বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে তিনি দাঁডিয়েছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হয়ে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন।
বাম জমাানায় খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী।তাছাড়া ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাতে হয়েছিল এক সময় তাঁকে। কিন্তু ২০১৮ সালে তিনি দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। দল বদলের জন্য বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি।যদিও সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন, কোনও রকম পদের মোহে নয় তৃণমূলের উন্নয়নে শরিক হতে তিনি এই দলে যোগ দিয়েছেন। এর কিছুদিন বাদে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে পরেশ অধিকারীকে কোচবিহার কেন্দ্র থেকে লড়ার জন্য তৃণমূল প্রার্থী করেছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছে পরাজিত হন।
মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি এ রাজ্যের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তপশীলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। মেখলিগঞ্জ বিধানসভা (এসসি) কেন্দ্রটি মেখলিগঞ্জ পৌরসভা এবং মেখলিগঞ্জ সিডি ব্লক, হলদিবাড়ি পৌরসভা এবং হলদিবাড়ি সিডি ব্লকের অন্তর্গত।মেখলিগঞ্জ বিধানসভা (এসসি) কেন্দ্রটি ৩ নং জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র(এসসি) র অন্তর্গত। ১৯৬২ সাল থেকে একেবারে টানা মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের অধীনে। ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে যায়। পরেশ অধিকারী নিজে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হিসেবে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ২০০১ , ২০০৬ এবং ২০১১ সালে । কিন্তু তিনি ২০১৬ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হিসেবে দাঁডিয়ে তৃণমূলের অর্ঘ্য রায় প্রধানের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এবার আবার ওই কেন্দ্রে তিনি প্রার্থী তবে দলের প্রতীক বদলে গিয়েছে ।