সমস্ত মেয়েই স্বপ্ন দেখে একদিন তাঁর নিজের পরিবার হবে। ঠিক এইরকমই এক স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়ে নরেশের সঙ্গে সংসার শুরু করেন তিনি। পরিবারে এক নতুন অতিথি আসতে চলেছে, এই খবর তাঁদেরকে আরও খুশি করে তোলে। কিন্তু এই খুশির দিন তাঁরা খুব বেশি সময় উপভোগ করতে পারেননি। তাঁদের সন্তান জন্মানোর মাত্র ৮ মাস পর থেকেই তাদের সন্তানের শারিরীক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে।
নরেশ এবং তার স্ত্রী তাদের সন্তানের এই শারিরীক অবনতির কথা বুঝতে পারেন জুলাই মাস থেকে। বার বার বমি করা, এবং তারপর ডায়েরিয়া, এটিই ছিল শরীর খারাপের সূত্রপাত। এর পর ডাক্তার জানান তাদের সন্তানের বয়সের তুলনায় ক্রমাগত তার ওজন হ্রাস পাচ্ছে। যত দিন এগিয়েছে, এই ছোট্ট ৮ মাসের শিশুটির শারিরীক অবস্থা আরও খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে উঠেছে।
এরপর হাসপাতালে তাকে ভর্তি রেখে একাধিক পরীক্ষা করা হয়, এবং ডাক্তার পরামর্শ দেন যে বাচ্চাটির বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন
নরেশ মাসে মাত্র ৫০০০ টাকা রোজগার করেন। নিজের পরিবারের দৈনিক চাহিদাটুকু মেটানোর জন্য যতটুকু তার পক্ষে সম্ভব সে করার চেষ্টা করেন। সন্তানকে সুস্থ করে তোলার জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা চেয়ে এবং নিজেদের যতটুকু সম্বল ছিল তার সর্বস্ব খরচ করে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। কিন্তু পরে জানা যায় তাদের সন্তানের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে। যার ফলে তার শরীর যথাযথ অক্সিজেন পাচ্ছে না এবং বাচ্চাটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পরছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।