শালবনীতে জিন্দাল গোষ্ঠীর ইস্পাত কারখানা হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্লাবে টাকা দিতে ব্যাস্ত, কর্মসংস্থানে নয়। সেই বি’ স্ফো’ র’ ণে বু’ দ্ধবাবু বাঁ’ চলে’ ও মরেছে বেকারের স্বপ্ন। শালবনীতে ইস্পাত কারখানা যে করা যায়নি তার দায় তাড়া করছে রাজ্য সরকারকে।
নির্বাচনের আগে দুটি নজরকাড়া কর্মসূচি নেয় বিরোধী বামফ্রন্ট। সিঙ্গুরে প্রস্তাবিত টাটা কারখানা ও শালবনীতে জিন্দালদের ইস্পাত কারখানার প্রতীকী শিলান্যাস। হাজার হাজার বাম ছাত্র যুবর সাইকেল মিছিল শালবনী প্রকল্প চত্বর পর্যন্ত যাওয়া রাজনৈতিক চর্চায় উঠে আসে।
এক যুগ আগের কথা, রাজ্যে বাম জমানা। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি চেয়েছিলেন শিল্পায়ন। দ্রুত রাজনৈতিক কারণে গরম হয়ে যাচ্ছিল।
শালবনী থানা, কেস নম্বর ৮১/০৮, ২.১১.০৮:
নভেম্বরের হাল্কা ঠাণ্ডা ভাব। শালবনীতে ইস্পাত কারখানার শিলান্যাস অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। শালবনী থেকে মেদিনীপুরের ফেরার পথে ভাদুতলা। ভিভিআইপি কনভয় স্থানীয় একটি খালের ধারে পৌঁছতেই বি’ স্ফো’ র’ ণ ঘটানো হয়েছিল। মাওবাদীদের এই নাশকতা দেশ জুড়ে ছড়ায় আ’ ত’ ঙ্ক। পাইলট কার সহ দুজন পুলিশকর্মী জ’ খ’ ম হন।
শুরু হলো জঙ্গলমহল ভিত্তিক মাওবাদী হামলা ও খুনের পর্ব। তৎকালীন বাম সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানো মাওবাদীরা এলাকায় মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে। সরকার সক্রিয় হতেই জন্ম নেয় পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি। পশ্চিম মেদিনীপুর তখন র’ ক্তা’ ক্ত হতে শুরু করেছে।
তারপরের মুহূর্তগুলি রীতিমতো রক্তাক্ত। পুলিশ প্রশাসনের হাতছাড়া হয়েছিল জঙ্গলমহল বেষ্টিত পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ। বুদ্ধবাবুর কনভয়ের উপর হামলা থেকে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা এখন নেই। তবে ইস্পাত কারখানাও হয়নি। আর জনসাধারণের কমিটির ‘সুপ্রিমো’ ছত্রধর মাহাত এখন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটিতে এসেছেন।
জিন্দালদের ইস্পাত কারখানা তৈরির চেষ্টা থেকে সরকার পাল্টে যাওয়া মুহূর্তগুলি ছিল র’ ক্তা’ ক্ত পরিবেশ। নির্বাচনের মুখে এসব আলোচনা ঘুরে ফিরে আসছে। শালবনীর শাল জঙ্গলে ঘটে চলেছে ঘনঘটা।