হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। একদিকে খোদ তৃণমূল নেত্রী, অন্যদিকে ভূমিপূত্র শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা। তবে বাকযুদ্ধ অব্যাহত দুই শিবিরে। বুধবার মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, তত বেশি নিজেকে হিন্দু প্রমাণ করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দুর দাবি নির্বাচনের আগে হিন্দু ধর্মের গুণগান গাইতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মন্ত্র পাঠ থেকে শুরু করে চন্ডী পাঠে জোর দিচ্ছেন মমতা। আগে যেখানে মমতার মুখে শুধু ইনশাআল্লাহ ও খুদা হাফিজ শোনা যেত, সেখানে এখন চন্ডী পাঠে মন দিয়েছেন তিনি। তাও ভুল শব্দ ব্যবহার মন্ত্র পাঠ করছেন তিনি।
নন্দীগ্রামে বিজেপির পার্টি অফিসে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই কটাক্ষ নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন তিনি বলেন চটি পরে মমতা জানকীনাথ মন্দিরে ভগবান রামের কাছে পুজো দিয়েছেন। এখন হিন্দু ধর্মের ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু হিন্দু ধর্মকে যে অপমান করেছিল, সেই সায়নী ঘোষকে দলে টিকিট দিয়েছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু নিজের ফোনে মমতার পাঠ করা কিছু মন্ত্র শোনান। যেখানে শুভেন্দুর দাবি মমতা ভুল উচ্চারণে মন্ত্র পাঠ করছেন।
ভোটের জন্য সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করছে তৃণমূল, এই শ্লোগান তুলে বিজেপি জোরদার ক্যাম্পেন শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি চাই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগিজি একবার এখানে আসে ভাষণ দিন। স্তোত্র পড়ুন। তিনি গোরক্ষপুর মঠের সাধু। তাহলে স্তোত্রপাঠ কী সেটা মানুষ বুঝবেন।”
২০১১ সালের বিধানসভা (Assembly Election) নির্বাচন তৃণমূল (TMC) চিট ফান্ডের টাকায় করেছিল বলে এদিন ফের অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, লকডাউন, আম্ফান -এর সময় মাননীয়া কোথায় ছিলেন? ৩ কোটি মানুষের টাকা মেরেছে তৃণমূল সরকার।
নিজেকে নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন মাননীয়া রিপোর্ট কার্ডের নাম যা বলছেন তা ‘ঢপের চপ’। ১২ তারিখ মনোনয়ন জমা দিতে আমার সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, স্মৃতি ইরানি। রাজ্যে কোনও উন্নয়ন হয়নি।