Thursday , June 8 2023

কলহ মিটিয়ে বিজেপির প্রার্থী, প্রচারে প্রত্যুষ মন্ডল

রবিবার বিকালে বিজেপির তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই উলুবেড়িয়ার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে গিয়ে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচারে নেমে পড়লেন উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী তথা হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল। সন্ধ্যায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মিছিল করে উলুবেড়িয়ার আনন্দময়ী কালীবাড়িতে আসেন বিজেপির প্রার্থী প্রত্যুষ মন্ডল। আনন্দময়ী কালী মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। প্রত্যুষ মন্ডল জানান,”সোমবার থেকেই জোরকদমে প্রচার চলছে। এবার আরও বেশি করে হবে প্রচার”

প্রত্যূষ মণ্ডল আগে আরএসএস করতেন। তারপরেই প্রবেশ কলেজ রাজনীতিতে। ওই সময়ে এবিভিপি’র বড় পদে নিযুক্ত ছিলেন। ধীরে ধীরে গ্রামীণ হাওড়ায় বিজেপির সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে পান হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতির পদ। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে হেরে যান। এবারে জয়ের ব্যপারে আশাবাদী প্রত্যুষ মন্ডল। তবে ঘটনা হল। হাওড়ার বহু স্থানে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবার পর থেকেই অশান্তি চলছে। দুই দিন পরেও অব্যহত সেই অশান্তি।

ঘটনাচক্রে প্রত্যুষ মণ্ডলকে হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতির পদ দেওয়ার সময়ে ব্যাপক সমস্যা হয়েছিল গ্রামীণ হাওড়া বিজেপির অন্দরে। সেই সময়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিবশঙ্কর বেজকে। ২০২০ সালের একদম শেষের দিকে নতুন সভাপতি করা হয় প্রত্যুষবাবুকে। সেই সময়ে নবনিযুক্ত সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল বিজেপির জেলা কার্যালয়ের পাশে একটি মাঠে।

যার জায়গায় প্রত্যুষ মণ্ডলকে আনা হয় সেই শিবশঙ্কর বেজের অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমাকে বিশ্রীভাবে পদ থেকে সরানো হয়। আমার অপসারণ সংক্রান্ত বিষয়ে ফেসবুকে ঘুরতে থাকা একটি পোস্ট দেখে দলের এক কর্মী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এর পরেই আমি জানতে পারি, আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের কেউ আমাএকে এ নিয়ে কিছু জানাননি। এতে আমি আশ্চর্য হয়েছি’।

ওই প্রসঙ্গে , বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপম মল্লিক বলেছিলেন, ‘সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী কোনও পদে বদল হলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তা জানানো হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। শিবশঙ্করবাবু হয়তো বিষয়টি জানতেন না। দলের নিয়ম মেনেই নতুন সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে।’ সমস্যা প্রসঙ্গে প্রত্যুষ মণ্ডল , যিনি বর্তমানে হাওড়ায় গ্রামীণ বিজেপির জেলা সভাপতির তিনি বলেছিলেন, ‘কোনও ঘোষিত কর্মসূচি ছিল না। সকালে জেলা কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। কর্মীরা উৎসাহিত হয়ে আমাকে ফুল ও মালা দিয়ে সংবর্ধনা দেন। আগামী দিনে শিবশঙ্করবাবুকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব।’ ক্ষোভ থাকলেও শিবশঙ্কর বেজ বলেছিলেন , ‘পদ থাক বা না থাক, আমি দলের হয়েই কাজ করে যাব’।

About M

Check Also

প্রার্থী না হয়েও যেভাবে জিতলেন মমতার ভাইপো অভিষেক

বিজেপির বড় বড় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হাত ধরাধরি করে লড়াই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপো অভিষেক …