বিধানসভা নির্বাচনে আরও ৩৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলো সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি বা এআইসিসি । কংগ্রেস ৯১টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রার্থী দিলো ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রে। বিধাননগর ও কাটোয়া এই দুটি আসনে এখনও কংগ্র্রেসের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়নি। সংযুক্ত মোর্চার শরিক হিসেবে কংগ্রেস ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৯১টি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এআইসিসির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের পর শনিবার রাতে ৩৯জন প্রার্থীর নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে । এই তালিকায় রয়েছে, শান্তিপুরের প্রার্থী হিসেবে ঋজু ঘোষালের নাম, সামসেরগঞ্জে মহম্মদ রেজাউল হক এর নাম। তবে সামসেরগঞ্জে আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে সিপিএম। শান্তিপুরে সিপিএম লড়বে বলে দলে সিদ্ধান্ত হয়ে রয়েছে। তাহলে এই দুই আসনে কি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা মুখোমুখি লড়াই করবে? প্রশ্ন সেটাই। তবে এর আগেও বাঘমুন্ডি ও জয়পুরে কংগ্রেসের পাশাপাশি ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিয়ে রেখেছে। তাই বলা চলে সামসেরগঞ্জ, শান্তিপুর, বাঘমুন্ডি ও জয়পুরে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে এবার নির্বাচনে লড়বে।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের কাছে এই চার আসনের পরস্পর বিরোধী লড়াই নিয়ে প্রশ্ন করে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। আসলে এটা যে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব সেটা উভয় দলের নেতারাই মেনে নিয়েছেন। এর আগের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেও জোট করার পর একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, এতো দিন আগের থেকে আলোচনা করে এই চার কেন্দ্রে কেন বিভেদ বজায় রইলো?
এখনও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ঠিক করে উঠতে পারেনি বিধাননগরে ও কাটোয়ায় কাদের প্রার্থী করা হবে। এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থী জট ছাড়ানোর দায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সোনিয়া গান্ধীর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিধাননগরে অরুনাভ ঘোষকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে। তবে অরুনাভ ঘোষ দাঁড়াতে চাইছেন না বলে জানা গেছে।
এবার যে ৩৯ জনের নাম কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় যারা রয়েছে তাদের মধ্যে পরিচিতরা হলেন, বাদুড়িয়ার প্রার্থী প্রাক্তন বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার, ভবানীপুরে সাদাব খান, রাসবিহারীর আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, নোয়াপাড়ায় শুভঙ্কর সরকার, পানিহাটিতে তাপস মজুমদার। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্রর নাম জোড়াসাঁকো বিধানসভার জন্য প্রস্তাব করা হলেও তিনি সম্মত হননি।