Friday , June 9 2023

‘আপনারাই পারেন ওকে জিতিয়ে আনতে’, মীনাক্ষীর জন্য তরুণের ডাক

নন্দীগ্রামে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মুখোপাধ্যায়। অনেকদিন ছবি তৈরি কমিয়ে দিয়েছেন। একসময় কত অসাধারণ ছবি বাংলাকে উপহার দিয়েছেন এই পরিচালক। এবার তিনি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন।

একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন , ‘বিশেষ কারণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের নাম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। প্রার্থীদের একজনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরজনের নাম শুভেন্দু অধিকারী। এই ক’দিন আগে পর্যন্ত এরা এক পার্টিতে ছিল। কি কারনে জানি না এরা একে অপরের দিকে রণহুংকার ছাড়ছেন। মিডিয়া ব্যস্ত এদের মচকানো পা, আর ভাঙা গলা নিয়ে।

এদের পাশাপাশি একটা অল্প বয়সী মেয়ে আছে। হাতে লাল পতাকা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছে আর মানুষকে বোঝাচ্ছে যে, এই বিদারুন সংকটে যদি আমরা সঠিক পথ বেছে না নিই, যদি হাতে হাত ধরে না চলতে পারি তাহলে সামনে ঘোর বিপদ। মেয়েটির নাম মীনাক্ষী মুখার্জি। আপনারাই পারেন ওকে জিতিয়ে আনতে।’

তরুণ মজুমদারের সংগ্রহে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার। ১৯৯০ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়।

মজুমদার অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন। তিনি গত পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র পরিচালনা করে আসছেন। তিনি তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মূলত বাঙালি সমাজ এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন। তাঁর অনেকগুলি চলচ্চিত্রই সাহিত্য-নির্ভর। তিনি বিমল কর, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকীর্তি বড়পর্দায় তুলে ধরেছেন । তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্রে অনেক সময়েই রবীন্দ্রনাথের গানের ব্যবহার থাকে। তিনি তাঁর সমসাময়িক অন্যান্য চলচ্চিত্রকার যেমন সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিংহ প্রভৃতি পরিচালকদের মতো সমালোচকদের বিপুল সাড়া না পেলেও নিয়মিত ভাবে বক্স অফিস হিট ছবি নির্মাণ করে চলেছেন।

পরিচালক জীবনের প্রথম কয়েক বছর শচীন মুখার্জি ও দিলীপ মুখার্জিকে ‘যাত্রিক’ নামে যৌথ ভাবে চারটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। উত্তম-সুচিত্রাকে নিয়ে যাত্রিক তৈরি করেছিলেন চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯)। ১৯৬০-এ যাত্রিক-এর তৈরি স্মৃতি টুকু থাক-এ সুচিত্রার ছিল দ্বৈত ভূমিকা। ১৯৬৩-তে যাত্রিক আরও দু’টি হিট ছবি উপহার দেন – পলাতক ও কাচের স্বর্গ। ১৯৬৫ সাল থেকে তরুণবাবু নিজে সিনেমা পরিচালনা শুরু করেন। একক ভাবে পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলি হল, আলোর পিপাসা-১৯৬৫, একটুকু বাসা-১৯৬৫,বালিকা
বধূ-১৯৬৭,রাহগির-১৯৬৯,নিমন্ত্রণ-১৯৭১, কুহেলি-১৯৭১ শ্রীমান, পৃথ্বীরাজ-১৯৭৩,ঠগিনী-১৯৭৪, ফুলেশ্বরী-১৯৭৪ ,সংসার সীমান্তে-১৯৭৫,বালিকা বধূ -১৯৭৬ (হিন্দি) , গণদেবতা- ১৯৭৮, দাদার কীর্তি-১৯৮০, শহর থেকে দূরে- ১৯৮১, মেঘমুক্তি-১৯৮১, খেলার পুতুল-১৯৮২, অরণ্য আমার-১৯৮৪, অমর গীতি-১৯৮৪, ভালোবাসা ভালোবাসা-১৯৮৫, পথভোলা- ১৯৮৬, আগমন-১৯৮৮, পরশমণি- ১৯৮৮, আপন আমার আপন-১৯৯০, পথ ও প্রাসাদ-১৯৯১, সজনী গো সজনী- ১৯৯১, কথা ছিল-১৯৯৪. আলো-২০০৩, ভালোবাসার আরেক নাম-২০০৫, চাঁদের বাড়ি-২০০৭। ভালোবাসার বাড়ি ২০১৮।

About M

Check Also

প্রার্থী না হয়েও যেভাবে জিতলেন মমতার ভাইপো অভিষেক

বিজেপির বড় বড় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হাত ধরাধরি করে লড়াই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপো অভিষেক …