ধর্ম নিয়ে খেলা চলছে, হিন্দু-মুসলিম ভোট ভাগাভাগির খেলা চলছে। তৃণমূল একমাত্র রাজনৈতিক দল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। মানুষকে ভালো রাখার রাজনীতি করে। দাবি তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের।
শুক্রবার বাঁকুড়ার রানীবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না মাণ্ডির সমর্থণে সুপুর সংলগ্ন বন পুকুরিয়া মাঠে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। এদিন তিনি সেখানে আরও বলেন, তৃণমূলে ধর্মের কোনও স্থান নেই । শুধুমাত্র মানুষের উন্নয়নের স্থান রয়েছে।
বিগত লকডাউনে যখন অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নিজের অফিসে বসে ‘অর্ডার’ করতে ব্যস্ত, তখন ব্যতিক্রম এরাজ্য। ‘মমতাদি’ রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
এদিন দেব তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর জন্য ঘাস ফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান।
অন্যদিকে, ভোটের মুখে যেভাবে একের পর নেতা দল বদলাচ্ছেন তাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সাংসদ দেবকে নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। অন্যদের মতো তিনিও পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন কিনা তা নিয়েও শুরু হয়েছিল চাপা গুঞ্জন। প্রথম দিকে ভোটের প্রচারে অভিনেতা দেব তথা ঘাটালের এই সাংসদকে সেভাবে ময়দানে দেখতে না পাওয়ায় তাঁকে ঘিরে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। এদিকে পয়লা এপ্রিল ঘাটালে ভোট। ফলে স্থানীয় সাংসদ হয়ে কেন দলীয় প্রচারে অনুপস্থিত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল রাজনৈতিক মহলে।
তবে ভোটের দোরগোড়ায় সব জল্পনায় জল ঢেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে ভোটের প্রচারে ময়দানে জোরকদমে নেমে পড়েছেন দেব। শুক্রবার বাঁকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারের দু দিন আগেই নিজের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোটের প্রচারে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও এক বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।
বুধবারও তিনি দলীয় প্রচারে এসে বিজেপিকে একহাত নেন। তিনি বলেন, “এ বারের ভোটে উন্নয়নের খেলা হবে। মানুষের বেঁচে থাকার খেলা হবে। যাঁরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাঁদের খেলা শেষ হবে। যাঁরা হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দেওয়াল তৈরি করছেন, তাঁদের খেলা শেষ হবে। মানুষ ভালো থাকবে, সুখে থাকবে। মেয়েরা সুরক্ষিত থাকবেন। এবার সেই খেলা শুরু হবে।”