ঠান্ডা মাথায় এয়ারগান দিয়ে গু’ লি করে ও ইট ছুড়ে এক হনুমানকে নি’ র্মমভাবে হ’ ত্যা’ র অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার রায়সা বাজারের মুদি দোকানি হাসিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গত ২৮ মার্চ বিকেলে শিকল দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলে হনুমানটি পাশের বিল্ডিংয়ে ছাদে ওঠে। সে সময় হাসিবুল ইসলাম প্রথমে এয়ারগান দিয়ে গু’ লি করে ও পরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হ’ ত্যা করে। অভিযুক্ত হাসিবুল ইসলাম নওলামারী গ্রামের মোহন আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬ দিন আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়সা বাজারে একটি হনুমান আসে। বাজারের বিভিন্ন দোকানদার শখ করেই হনুমানটিকে পাউরুটি কলা খাওয়াত। গত ২৮ মার্চ বিকেলে রায়সা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী হাসিবুল ইসলাম শিকল দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলে হনুমানটি পাশের কুলগাছে উঠে পড়ে। পরে পাশের এক বাড়ির ছাদের ওপর গিয়ে বসে। শেকলে বাঁধতে ব্যর্থ হয়ে হাসিবুল এয়ারগান দিয়ে গু’ লি করলে আ’ হত অবস্থায় হনুমান আরেকটি ঘরের ছাদে গিয়ে শুয়ে পড়ে। সে সময় হাসিবুল ইট ছুড়ে নির্মমভাবে হনুমানটিকে হ’ ত্যা করে। হ’ ত্যা’ র পর পার্শ্ববর্তী বিলের ভেতর ফেলে দিয়ে আসে।
রায়সা গ্রামের ইউপি সদস্য শাহাবুল ইসলাম জানান, হনুমানটিকে নির্ম’ মভাবে গু’ লি করে ও ইট ছুড়ে হ’ ত্যা’ র ঘটনায় রায়সা বাজারের মানুষ মর্মাহত। তারা হাসিবুল ইসলামকে ধি’ ক্কার জানিয়েছে ওই অপকর্মের জন্য।
রায়সা বাজারের শওকত আলী জানান, মুদি দোকানি হাসিবুলের এই নির্মম কাজের জন্য সন্ধ্যায় বাজারে প্রায় দেড় শ মানুষ জড়ো হয়েছিল। সকলেই মারমুখী হয়ে উঠেছিল। কেউ কেউ দয়া করে হাসিবুলকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
অভিযুক্ত হাসিবুল ইসলাম বলেন, আমি হনুমানটিকে হ’ ত্যা করিনি। গাছ থেকে ছাদের ওপর লাফ দিয়ে মা’ রা গেছে। আমি হনুমানটিকে মাটিচাপা দিয়েছি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, হাসিবুলের বিরুদ্ধে নির্দোষ বন্যপ্রাণী হত্যার অভিযোগ উঠায় তাকে আটকের জন্য স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।