নন্দীগ্রামে সিপিএম সব বুথে এজেন্ট দিতে পেরেছে । এই দাবি করছেন নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের অভিযোগ ১০০-র বেশি বুথে বিজেপি তাদের এজেন্টদের বসতে দিচ্ছে না। বিজেপি বলছে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে, তাই এসব বলছে। এই চিত্র থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে তাহলে কী সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের তুলনায় নন্দীগ্রামের নির্বাচনে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন? নির্বাচনের নিয়ম হচ্ছে, বুথে যে দল তাদের নির্বাচনী এজেন্ট দিতে পারবে তারাই নির্বাচনটা ভালো ভাবে করাতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “সকাল থেকে আমাদের নির্বাচনী এজেন্টরা বেশিরভাগ বুথে বসতে পেরেছেন। কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন তার জন্য সেনা বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া জরুরি।”
এদিকে এই প্রসঙ্গে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব বলেন, “নন্দীগ্রামের প্রায় সব বুথে আমাদের এজেন্টরা বসতে পেরেছেন। সন্ত্রাস হচ্ছে বলে যা বলা হচ্ছে সেটা তৃণমূল আর বিজেপি পরিকল্পনা করে করছে, যাতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বার হয়ে ভোট কেন্দ্রে না যান। আসলে ওরা বুঝতে পেরেছে, মানুষ এবার ভালো মন্দ বুঝে ভোট দেবেন। তাই মানুষ যাতে ভোটটা দিতে না পারেন তার জন্য যা করার সেটা তৃণমূল আর বিজেপি করছে।”
এদিকে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের দুই কান্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দুই বিরোধী প্রার্থী। তৃণমূল নেত্রী দাবি করছেন, “নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের মুলে তিনিই ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীর নির্দেশেই নন্দীগ্রামে পুলিশ ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ চটি পড়া পুলিশ ঢুকে গুলি চালিয়েছিল। অধিকারীদের ইন্ধন না থাকলে সেদিন নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারতো না।” এদিকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন, “নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের তিনিই প্রধান ব্যক্তি।” তবে প্রথম থেকেই সিপিএম বলে আসছে নন্দীগ্রাম কোনও আন্দোলন নয়। নন্দীগ্রামে যা হয়েছিল সেটা ছিল বামফ্রন্ট সরকারকে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পিত সন্ত্রাস। সিপিএম-এর এই দাবি এখন বর্তমান তৃণমূল ও প্রাক্তন তৃণমূল নিলে নন্দীগ্রামের পরিকল্পিত সন্ত্রাস নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন এই ভাবে নিজের ভোট বাড়াতে চাইছেন মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাতে কাজ হবে না। মানুষ বুঝে গেছেন যারাই তৃণমূল তারাই বিজেপি। ভোটের ময়দানে নেমে এখন এসব কথা বলছে।