রাজ্যে পঞ্চম দফা ভোটের দিনই রাজ্যে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, চার দফা ভোটেই সাফ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। আর ঠিক পরদিনই আপাতত হওয়া পাঁচ দফা ভোটের আসনগুলিতে কত আসন বিজেপির ঝুলিতে যাচ্ছে, তাও স্পষ্ট করে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার ইকো পার্কের মর্নিং ওয়াকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৮০ আসনে ভোট হয়েছে। আর এর মধ্যে আমরা নিশ্চিতভাবে ১২৫ আসন পাব।’
এদিন কনফিডেন্সের সঙ্গে দিলীপ দাবি করেন, ‘একেবারে হিসাব করে ২০০ সিট পাব। যেমনভাবে ইলেকশন চেয়েছিলাম আমরা, তেমন ভাবেই হচ্ছে। আর যারা চাইছে আমাদের হারাবে, তারা এখন ছেড়ে দিতে পারলে বাঁচে। তৃণমূল এখন বলছে, একসঙ্গে করে দাও আমরা সভা করব না। কেউ না এলে সভাটা করবে কি করে!মিটিং করতে হলে খরচা আছে, বক্তারা নেতারা কেউ বের হচ্ছেন না,তাই বলছে সব গুটিয়ে দাও। রেজাল্ট হয়ে গেছে ম্যাচের! টাইমটা তো পুরো করতে হবে। সেটা আমরা করে দেব।’
প্রসঙ্গত, চার দফা ভোটের পরই দিলীপ দাবি করেছিলেন, সেঞ্চুরি ক্রস করে গিয়েছে বিজেপি। একই দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও। তবে, পঞ্চম দফা ভোটের পর দিলীপের দাবি, ১২৫ আসন পাকা। অর্থাৎ, ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে আর বাকি মাত্র ২৩ আসন। বাকি তিন দফার হেসেখেলে তা চলে আসার কথাই বকলমে দাবি করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন অবশ্য রাজ্য পুলিশকে নিশানা করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা হচ্ছে বাংলায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা করে তো রাজ্য পুলিশ। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশেরই কাজ। কেন্দ্রীয় বাহিনী শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে এসেছে। আর তা না হলে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট হয় নাকি! আগে এই কলকাতার আশপাশের লোককে গুন্ডা দিয়ে ভয় দেখানো হত। কিন্তু এবার মানুষ আর ভয় পাচ্ছে না। যেখানে পুলিশের এক্তিয়ার আছে, সেখানেই গণ্ডগোল হচ্ছে।’
স্বাভাবিকভাবেই দিলীপের দিকে প্রশ্ন ধেয়ে এসেছে, তাহলে গন্ডগোলের সঙ্গে পুলিশ জড়িত? দিলীপের জবাব, ‘পুলিশ আর গুন্ডাদের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। তাই গুন্ডারা গণ্ডগোল করলে পুলিশ কিছু বলতে পারছে না। ফলে এলাকায় অশান্তি হচ্ছে।’