ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের আগে ক’রো’না আক্রান্ত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি নিজে বুধবার ট্যুইট করে তিনি নিজে বুধবার ট্যুইট করে ক’রো’না আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান। ট্যুইট বার্তায় তিনি জানান গত কয়েকদিন ধরেই তিনি হোম আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। তিনি আবেদন করেন, গত ৭ দিন তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁরা যেন কোভিড পরীক্ষা করান। প্রসঙ্গত তিনি নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন।
এদিকে নির্বাচনের শেষ লগ্নে দলের কাণ্ডারির ক’রো’না হওয়ায় দলের চিন্তা বেড়েছে। বুধবার অধীর রঞ্জন চৌধুরী ট্যুইটে লেখেন, “আমার ক’রো’না ধরা পড়েছে। গত ৭ দিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের কোভিড বিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। আমি ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে যাব। প্রত্যেককে অনুরোধ করব তাঁরা যেন নিজেদের জীবন থেকে ক’রো’না’কে দূরে সরিয়ে রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নেন।”
নির্বাচনী প্রচারে গত প্রায় এক মাস ধরেই পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় ঘুরে জনসভা ও জনসংযোগ করছিলেন অধীর। তবে অধীর জানিয়েছেন ক’রো’না সংক্রমিত হলেও প্রচার বন্ধ হবে না। বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কংগ্রেস এবং সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থনে তিনি প্রচার চালাবেন বলে জানিয়েছেন টুইটে ।
অধীরের নিজের জেলাতেও ক’রো’না পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। দিন ক’য়েক আগেই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার দুই বিধানসভা কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের দুই বিধানসভা প্রার্থীর ক’রো’না’য় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। বহরমপুরেও ক’রো’না সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরসূত্রে খবর। এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতার অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ বেড়েছে। অধীরও টুইটারে অনুরোধ করেছেন, ক’রো’না সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেককে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করতে।
এদিকে বুধবারই ক’রো’না আক্রান্ত হয়েছেন বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শিলাদিত্য হালদার। সেই খবর পেয়ে হোম আইসোলেশনে গিয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে এর কিছু ক্ষণ পর ট্যুইট বার্তায় তিনি নিজেই জানান তাঁর আক্রান্ত হওয়ার কথা। এর আগে ক’রো’না আক্রান্ত হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।