ক’রো’না’র জন্য বাংলায় ভোট প্রচারে যাইনি৷ ভার্চুয়াল প্রচারে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ জরুরি পরিস্থিতির জেরে না আসতে পারার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, “আমি বাংলার বাইরে থাকলেও সর্বদা রবিঠাকুরের একটি পংক্তি মনে পড়ে। সেটা হল, ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা।”
শেষ দুই দফার ভোটগ্রহণের আগে শুক্রবার বাংলায় ভোটের প্রচারে রাজ্যের ৪ জায়গায় আসার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে টুইট করে মোদী জানান, দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থাকায় বাংলা সফর বাতিল করছেন তিনি। মোদীর পুরনো সূচি মতো শুক্রবার মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও কলকাতায় সফর ছিল। এই চার জেলার ৫৬ বিধানসভা এলাকায় মোদীর ভার্চুয়াল বক্তব্য সম্প্রচারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করেছে বিজেপি। কলকাতার শহীদ মিনার ময়দানেও একটি মঞ্চ করা হয়।
ভার্চুয়াল মাধ্যমেই এদিন ভাষণ দেন মোদী৷ বক্তব্যের মাঝে মধ্যেই বাংলায় কথা বলেন তিনি। বলেন, “বিজেপি বাংলার যুবদেরকে দেবে চাকরি। বিজেপি বাংলার মা-বোনেদের দেবে সুরক্ষা।” ভাষণ শেষ করার আগে মোদী বলেন, “বাংলা নির্বাচনে আর দু’দফা বাকি। এটা আমার শেষ সভা বলতে পারেন। এখনও পর্যন্ত বাংলায় খুব ভাল ভোটিং হয়েছে। আপনারা ভবিষ্যতেও এমনটাও চালিয়ে বলে আশা রাখছি। বাংলা লড়বে, বাংলা জয়লাভ করবে। আগামী ২ মে বাংলায় নতুন সূর্যোদয় হবে। আমি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসে আপনাদের আর্শীবাদ নেব।”
‘ক’রো’না পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগের সুর ছিল মোদীর গলায়৷ তিনি বলেন, “ক’রো’না থেকে বাঁচার জন্য, সতর্ক থাকুন। নিজেদের সাবধানে থাকতে হবে। বৈজ্ঞানীক ও চিকিৎসকদের পরামর্শ শুনেই আমাদের চলতে হবে। টিকা নেওয়ার পরেও মাস্ক পরতে হবে। পুরো মুখ ঢাকতে হবে। দাওয়াই ভি কড়াই ভি। এটাকে মন্ত্র বানাতে হবে। বাংলা জিতবে। বিজেপি জিতবে। একসঙ্গে এগোবো আমরা।”
এদিন দেশের ক’রো’না পরিস্থিতিতে বড় ঘোষণা করে কেন্দ্র। আগামী মে ও জুন মাসে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’য় বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র জানিয়েছে , দেশের সমস্ত দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষকে মে ও জুন মাসে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। এর ফলে প্রায় ৮০ কোটি ভারতীয় উপকৃত হবেন। এই রেশন বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ পড়বে ২৬ হাজার কোটি টাকা।