নির্বাচনের শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে, তৃনমূল কংগ্রেসের অভিযোগ একটাই। “কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে”।
এবার রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, বিজেপি ও কমিশনের নির্দেশে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।
হুংকার দিয়ে মমতা বলেন, “তৃণমূলের কোনও বিকল্প নেই। আমরাই জিতব। তাই তৃণমূল কর্মীদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। জেতার পরই কেস করব।”
দিনের পর দিন করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে, বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তাই শেষ দুই দফার নির্বাচনের সভা ভার্চুয়ালি হচ্ছে। রবিবার বহরমপুর থেকে ভারচুয়ালি সভা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকেই বিজেপি আর নির্বাচন কমিশনকে এক শূলে বিঁধলেন তিনি।
এদিনের সভায় মমতা অভিযোগ করেন, অমিত শাহের নির্দেশেই বিজেপি নেতাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে কমিশন। তাঁর দাবি, সেই বাহিনীর জওয়ানরাই পশ্চিম বর্ধমানে সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে।
দলীয় কর্মী সমর্থকদের আশ্বস্ত করে এদিন মমতা বলেন, “তৃণমূল জিতবেই, তাই ভয়ের কোনও কারণ নেই। ফলপ্রকাশের পর আইনি পদক্ষেপ নেব।”
এদিনের ভার্চুয়াল সবাই রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “কমিশন এলেই রাজ্য পুলিশ ভয় পেয়ে যায়। ওদের বুদ্ধি কাজ করে না। ওরা ভুলে যায় কমিশন সারা বছর থাকবে না।” তাঁর দাবি, বিজেপি আর কমিশনের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাঁর সামনে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, সেই চ্যাট অনুযায়ী, ভোটের দিন দাপুটে তৃণমূল নেতাদের অহেতুক থানায় এনে বসিয়ে রাখা হবে। তাই সকলকে সতর্ক করে মমতা বলে দেন জ নির্বাচনের দিন যেন কেউ থানায় না জান।
এদিনের সভায় থেকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনার কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বসলেন মমতা। হাসপাতালের বেডের অভাব থেকে শুরু করে অক্সিজেনের ঘাটতি, সবকিছুর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন মমতা।