পৃথিবীর রক্ষাকর্তা শিবের মাস হল শ্রাবণ মাস ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সময় ভোলা মহেশ্বর এর ভক্তরা ভোলে বাবার চরণে নিজেদের উৎসর্গ করে আশীর্বাদ লাভ করেন। বলা হয়ে থাকে যে এই পুরো মাসে যদি শিবের উপাসনা করা হয় তবে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। শ্রাবণ মাসে শিবের ভক্তরা শ্রাবণ সোমবার পালন করেন। কিংবদন্তি অনুসারে শোনা যায় মা পার্বতী দেবাদিদেব মহাদেব কে নিজের স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য এই শ্রাবণ মাসে তপস্যা করেছিলেন। সেই থেকে শ্রাবণ মাসে দেবাদিদেব মহাদেবের ভক্তরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে শিবের ব্রত করে থাকেন।
২০২১ সালের এই শ্রাবণ মাসের বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। বলা হচ্ছে যে এই শ্রাবণ মাস একটি বিশেষ কাকতালীয়ভাবে উদযাপিত হবে। শ্রাবণ মাস সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। এই শ্রাবণ মাসে ১১ টি সর্বভারত সিদ্ধি যোগ, ১০ টি সিদ্ধি যোগ, ১২ টি অমৃত যোগ রয়েছে। তিনটি অমৃত সিদ্ধি যোগ তৈরি করা হচ্ছে, যার কারণে এই বছরের শ্রাবণ মাস খুব বিশেষ।
শ্রাবণ মাসের সকাল-সন্ধ্যে শিবের পূজা অর্চনা করুন। কাকতালীয়ভাবে এই বছরের শ্রাবণ মাসের সোমবার দিয়ে শুরু হওয়ার কারণে সকলের উচিত সকালে সন্ধ্যায় বাবা ভোলানাথের চরণে নিজেকে উৎসর্গ করা। যথাযথ নিয়ম নিষ্ঠার মাধ্যমে মহাদেব কে স্মরনে আনা।
এই পবিত্র মাসে দেবাদিদেব মহাদেবের মাথায় জল ঢালতে এবং নিষ্ঠা করে পূজা করলে আশীর্বাদ লাভ হবে। যদি নিয়মনিষ্ঠ হয়ে ভলেবাবার উপাসনা করতে না পারলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই শ্রাবণ মাসের দিনগুলিতে প্রত্যেকের উচিত মহাদেবের প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ জ্বালানো। এই সময়ে, “ওম নমঃ শিবায়” মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করলে সংসারে শুভ ফল পাওয়া যাবে।এই মন্ত্র জপ করতে রুদ্রাক্ষের জপমালা ব্যবহার করা যেতেই পারে। এইভাবে ভগবান শিবের দ্বারা তার একান্ত ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে এবং ভোলা মহেশ্বরের আশীর্বাদের দৃষ্টি তার ভক্তদের ওপর থাকবে।
সমস্ত দেব-দেবীদের প্রিয় এই শ্রাবণ মাস নিষ্ঠাভরে পুজো করলে শুভ ফল লাভ হবে। শাস্ত্র অনুযায়ী শ্রাবণ মাসে শিবের উপাসনা করা ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। কিন্তু তার জন্য বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলা বাঞ্ছনীয় ।শ্রাবণ।মাসে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো করলে হলুদ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।শ্রাবণ মাসে বেগুন খাওয়া উচিত নয়।কারণ এইসময় বেগমকে অশুদ্ধ সবজি হিসেবে গণ্য করা।শ্রাবণ মাসে দুধ খাওয়া উচিত নয়। এই সময় যদি কেউ উপবাস কিংবা ব্রত রাখেন তাহলে দুধ এড়িয়ে চলাই ভালো।শ্রাবণ মাস জুড়ে ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত।শ্রাবণ মাসে কাউকে অপমান করা কিংবা মনের মধ্যে খারাপ ধারণা আনা অনুচিত। এই সময় নিজেকে ভোলা মহেশ্বর এর চরণে নিবেদন করা বাঞ্ছনীয়।