জ্যোতিষবিদ্যায় ভরসা করেন অনেকেই। তবে জানেন কি, কিছু বিশ্বাস ও প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যার সুফল মেলে অনেক ক্ষেত্রেই। সেই বিশ্বাস অনুসারে, যদি কালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে নিজের হাতের তালু দর্শন করেন, তবে সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন। জীবনের সব দুর্ভাগ্য দূর হয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত।
কেন হাতের তালু দর্শন করবেন —
১. পুরাণ অনুসারে জগত সৃষ্টিকর্তা ভগবান ব্রহ্মা, ধনদেবী লক্ষ্মী, ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী মানুষের হাতের তালুতে বসবাস করেন। তাই সকালে উঠেই যদি এই তালু দর্শন করা যায়, তবে পুণ্য লাভ হয়।
২. প্রতিদিন সকালে উঠে হাতের তালু দর্শনে মানুষ পজেটিভ এনার্জি পান। বিশ্বাস করা হয়, সেই এনার্জি শেষ করতে পারে জীবনের নঞর্থকতাকে।
৩. হাতের তালু দর্শনে সারাদিন শুভ কাজে ভরে ওঠে। ব্রহ্মা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় এক সাথে। বলা হয় সকালে উঠে যদি লক্ষ্মী মন্ত্র পাঠ করতে পারেন, তবে কাজ হয় ম্যাজিকের মত।
মন্ত্রটি হল “কারাগ্রে ভাস্তে লক্ষ্মী, কারা মধ্যে সরস্বতী, কারা মূলে স্তিস্থা গৌরী, মঙ্গলাম কারা দর্শনাম”। অর্থাৎ এই মন্ত্রের অর্থটা হল- তালুর একেবারে উপরে অবস্থান করছেন মা লক্ষ্মী, মধ্যে সরস্বতী এবং একেবারে নিচে মা গৌরি। এই মন্ত্র পাঠ করলে সন্তুষ্ট হন ধনদেবী লক্ষ্মী।
অর্থ ও সম্পদে ভরে ওঠে জীবন। এই মন্ত্র পাঠে সন্তুষ্ট হন জ্ঞানদেবী সরস্বতীও। ফলে শুভ বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিক ক্ষেত্রে শুভ কাজ সম্পন্ন হয়। কোনও বিঘ্ন ছাড়াই জীবন অতিবাহিত হতে পারে।
এছাড়াও সকাল বেলায় নিজের হাতের তালু দর্শনের ফলে পরিবারের সুখ শান্তি বজায় থাকে। লক্ষ্মী মন্ত্র পাঠে গৃহস্থের বাড়িতে পজেটিভ এনার্জি বিরাজ করে। পরিবারের কলহ বিবাদ শেষ হয়। খারাপ বা অশুভ শক্তির প্রভাব কমে, সুখ ও শান্তি বৃদ্ধি পায়।