ইস’লাম ধ’র্ম মতে মু’সলমানদের সপ্তাহের সেরা দিন শুক্রবার অর্থাৎ জুমা’র দিন। জুমা নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরা আছে। ইস’লাম ধ’র্ম মতে এইদিনে মহান আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন।
হ’জরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে এই দিনেই জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মু’সলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে ম’সজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমা’র দিন বলা হয়।
জুমা’র নামাজের সূচনা:
জুমা’র নামাজ ফরজ হয় প্রথম হিজ’রিতে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার দিনে ম’দিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমা’র নামাজ আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমা’র নামাজ।
হিজরতের পরে জুমা’র নামাজ ফরজ হওয়ার আগে নবুওয়তের দ্বাদশ বর্ষে ম’দিনায় নাকী’উল খাজিমাতে হ’জরত আসআদ বিন যুরারাহ (রা.)-এর ই’মামতিতে সম্মিলিতভাবে শুক্রবারে দুই রাকাত নামাজ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে সেটা ছিল নফল নামাজ।
জুমা’র নামাজের গুরুত্ব:
শুক্রবারের দিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমা’র নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। জুমা’র দুই রাকাত ফরজ নামাজ ও ই’মামের খুতবাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। সপ্তাহের এদিনে জুমা’র খতিব উম্মতের যাবতীয় প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে নির্দেশনা ও সমাধানমূলক উপদেশ দেবেন তাঁর খুতবায়।
হ’জরত তারেক ইবনে শিহাব (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ক্রীতদাস, মহিলা, নাবালক বাচ্চা ও অ’সুস্থ ব্যক্তি—এই চার প্রকার মানুষ ছাড়া সকল মু’সলমানের ওপর জুমা’র নামাজ জামাতে আদায় করা অ’পরিহার্য কর্তব্য (ফরজ)। (আবু দাউদ : ১০৬৭, মু’সতাদরেকে হাকেম : ১০৬২ , আস্-সুনানুল কাবীর : ৫৫৮৭)
হ’জরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে এ ম’র্মে হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো শরীয়তসম্মত কারণ ছাড়া জুমা’র নামাজ বর্জন করবে, তার নাম মুনাফিক হিসেবে এমন দপ্তরে লিপিবদ্ধ হবে, যা মুছে ফেলা হবে না এবং পরিবর্তন ও করা যাবে না। (তাফসিরে মাজহারি, খণ্ড : ৯, পৃষ্ঠা : ২৮৩)।