তৃতীয় মা-মাটি-মানুষ-এর (TMC Government) সরকারের কাছে রাজ্যের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আর এই প্রত্যাশা বাড়িয়েছেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেননা তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারে যে ১০টি মূল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাতে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয় তৃণমূল সরকারের কাছে মানুষের দাবি অনেক বেড়ে গিয়েছে।
তবে ২০১৬-তে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তিনি পূরণ করেছেন বলেই তিনি দাবি করেন। যদিও বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি মানতে চান না। কিন্তু ২০২১-এর নির্বাচনের ফলই বলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতির ওপর রাজ্যের মানুষের ভরসা আছে। তার অর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন।
এই দিক থেকে বিচার করে বলা যায়, তৃতীয়বারের তৃণমূল সরকারের দায়িত্ব আগের দু’বারের অনেক বেশি। দায়িত্ব বেশি এই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসসি/এটি (SC/TS) ও সাধারণ সম্প্রদায়ের (General cast) মহিলাদের মাসে ১০০ ও ৫০০ টাকা করে হাত খরচের প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী সভায় দিয়েছেন। ইস্তাহারের সেটা লেখা রয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার কাজ নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার শুরু করলেও এখনও অনেক মানুষ সেই কার্ড পাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী জনসভায় বলেছেন, বছরে চারবার দুয়ারে সরকার হবে। সেখানে নাম লেখালেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাওয়া যাবে। জুন মাস থেকে আগামী পাঁচ বছর রাজ্যের মানুষদের দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক একর জমি যে কৃষকদের আছে তাদের ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা স্বামীহারা হবেন, তাঁদের দেওয়া হবে বিধবা ভাতা। এই সব প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আগামী ৫ বছর পালন করে চলতে হবে। তাই শপথ গ্রহণ শেষ, এবার প্রতিশ্রুতি (Promise) পূরণের পালা।
তবে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে ক’রো’না’র বিরুদ্ধে লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ের পর থেকেই বলে আসছেন, “আমার এখন প্রথম ও প্রধান গুরুত্ব হচ্ছে ক’রো’না। রাজ্যে বহু মানুষ ক’রো’না সংক্রমণে আক্রান্ত। তাদের পাশে দাঁড়ানো রাজ্য প্রশাসনের প্রধান ও প্রথম কাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেই তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করে নিজ নিজ
এলাকায় ক’রো’না নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই এই জয় যতটা আনন্দের তার চেয়ে বেশি দায়িত্বের, এটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।