পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা ডাঃ সানা রামাচাঁদ সফলভাবে সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস বা সিএসএস (CSS) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছে পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেসে। সেদেশের সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সানা (Sana Ramachand) জানিয়েছে যে, তিনি খুবই খুশি, তবে বিস্মিত নন। কারণ জানান, ছোটবেলা থেকেই সাফল্যে অভ্যস্ত তিনি।
সানা জানান, ‘আমি স্কুল, কলেজ এবং এফসিপিএস পরীক্ষায় সর্বদা শীর্ষস্থান অধিকারী ছিলাম। তাই প্রত্যাশা মতোই সিএসএস-ও সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পারলাম’। এই সানা পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশের শিকারপুরের বাসিন্দা। সেখানেই সেদেশের সব থেকে বৃহৎ হিন্দু জনগোষ্ঠী রয়েছে। সেদেশের সিএসএস পরীক্ষায় এবার মোট ১৮,৫৩৩ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন মাত্র ২২১ জন। তাঁদের মধ্যেই সানা। সেখানে পরবর্তী ধাপে একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে সেই ২২১ জনকেই নির্বাচিত করা হয়েছে।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবর জেনে সানা আপ্লুত হয়ে টুইট করে লেখেন, ‘ওয়াহে গুরু জি কা খালাসা, ওহে গুরু জী কি ফাতেহ, খুব আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সিএসএস পরীক্ষায় সফল হয়েছি এবং ডেপুটি কমিশনার পদে নিযুক্ত হলাম।’ জানিয়ে দি, ব্রিটিশ শাসন কাল থেকেই পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (PAS) অত্যন্ত এলিট একটি পরীক্ষা হিসাবে স্বীকৃত।
সানা রামাচাঁদ সিন্ধ (Sindh) প্রদেশের একটি মেডিকেল কলেজ থেকে MBBS পাশ করেছেন। তিনি কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেওয়ার সময়, রামচাঁদ জানান যে, তিনি কোনও সাহায্য ছাড়াই একটি ঘরে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিলেন কিন্তু করাচীতে তার বাড়ির কাছে স্থাপন করা একটি কল্যাণ সিএসএস কর্নারে ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছেন।
বিবিসি উর্দু মারফত জানা যাচ্ছে ,যে রামচাঁদ হলেন প্রথম হিন্দু মহিলা, যিনি সিএসএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে PAS-র জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও মোট ৭৯ জন মহিলা চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে এবং তাঁরা পিএএস সহ বিভিন্ন গ্রুপ নিযুক্ত হয়েছে। এমনকি পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকারিও একজন মহিলা। তিনি হলেন মাহেন হাসান। তাঁকেও নির্বাচিত করা হয়েছে পিএএস-তে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (PPP) সিনিয়র নেতা ফরহাতউল্লাহ বাবর সানা রামাচাঁদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন “ডাঃ সানা রামচাঁদকে অভিনন্দন। তিনি পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি পুরো দেশকে গর্বিত করেছেন।”